এন্টিবায়োটিক এর কারণে একসময় কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে !
ধরেন আপনি অ্যাকসিডেন্ট করে হাত পা কেটে ফেললেন সেই ক্ষত জীবনে আর কখনোই সারবে না অথবা শরীরের কোন অঙ্গে ইনফেকশন হলেই ধীরে ধীরে তার মৃত্যু নিশ্চিত। এসব কথা এখন হাস্যকর মনে হলেও হয়তো একসময় সত্যিই ঘটে যেতে পারে। বিংশ শতাব্দির যে আবিষ্কারটি কারণে কোটি কোটি মানুষের জীবন বেঁচে যাচ্ছে বটে তবে তা ব্যবহারের কারণে হয়তো একসময় কোটি কোটি মানুষ মারা যাবে । এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং নিজেই এ ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন।
সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ইনফেকশন জাতীয় রোগে এন্টিবায়োটিক সেবন করা হয়। ‘এন্টিবায়োটিক’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘এন্টি’ ও ‘বায়োস’ থেকে। এন্টি অর্থ বিপরীত ও বায়োস অর্থ প্রাণ। মূলত এন্টিবায়োটিক জীবিত ব্যাকটেরিয়া তথা অণুজীবের বিপরীত কাজ করে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে যেসব রোগ হয় - সেগুলো নিরাময়ের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এজন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয়। এক জীবাণুর বিরুদ্ধে যেমন সব এন্টিবায়োটিক কাজ করে না, তেমনি আমরা জানি সব জীবানুর বিরুদ্ধে একই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না । এন্টিবায়োটিক আমাদের দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জীবাণুগুলো সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আমাদের দেহ সুস্থ হতে শুরু করে।
জানেন কি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে যা বোঝায় তা হলও এন্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। কোনো বিশেষ জীবাণুর জন্য যেসব গুণাবলী ওষুধে থাকার কথা তা ঠিক রয়েছে কিনা এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণও করা হয়েছে কিনা কিন্তু সবকিছুর পরও ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি আর কাজ করতে পারছে না। সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীরা এন্টিবায়োটিক সেবন করে থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, রোগীরা একটু জ্বর কিংবা ঠান্ডা-কাশি হলে না বুঝেই এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলে। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করা শুরু করলেও মাঝপথে গিয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেন বা কোর্স পূর্ণ করেন না। আর এভাবেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ে বা তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে । তাই এন্টিবায়োটিক যখন তখন সেবন করা যাবে না।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এন্টিবায়োটিক কী ?
সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা ইনফেকশন জাতীয় রোগে এন্টিবায়োটিক সেবন করা হয়। ‘এন্টিবায়োটিক’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ ‘এন্টি’ ও ‘বায়োস’ থেকে। এন্টি অর্থ বিপরীত ও বায়োস অর্থ প্রাণ। মূলত এন্টিবায়োটিক জীবিত ব্যাকটেরিয়া তথা অণুজীবের বিপরীত কাজ করে। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে যেসব রোগ হয় - সেগুলো নিরাময়ের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এজন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয়। এক জীবাণুর বিরুদ্ধে যেমন সব এন্টিবায়োটিক কাজ করে না, তেমনি আমরা জানি সব জীবানুর বিরুদ্ধে একই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না । এন্টিবায়োটিক আমাদের দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জীবাণুগুলো সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আমাদের দেহ সুস্থ হতে শুরু করে।
জানেন কি এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে যা বোঝায় তা হলও এন্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। কোনো বিশেষ জীবাণুর জন্য যেসব গুণাবলী ওষুধে থাকার কথা তা ঠিক রয়েছে কিনা এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণও করা হয়েছে কিনা কিন্তু সবকিছুর পরও ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি আর কাজ করতে পারছে না। সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীরা এন্টিবায়োটিক সেবন করে থাকে। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে, রোগীরা একটু জ্বর কিংবা ঠান্ডা-কাশি হলে না বুঝেই এন্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলে। আবার অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি সেবন করা শুরু করলেও মাঝপথে গিয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেন বা কোর্স পূর্ণ করেন না। আর এভাবেই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে পড়ে বা তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে । তাই এন্টিবায়োটিক যখন তখন সেবন করা যাবে না।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কি?
চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত ডোজ ও সময় অনুসারে এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করতে হবে। সংক্রমণের উন্নতি হলেও এন্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করা যাবে না , কোর্স সম্পূর্ণ করুন। ডোক মিস যেন না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এন্টিবায়োটিক সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফার্মেসি বা দোকানদার বললেও ওষুধ খাবেন না।
অন্যের ব্যবস্থাপত্র দেখে এন্টিবায়োটিক সেবন কখনই করবেন না । অতীতে অসুস্থতার জন্য দেয়া এন্টিবায়োটিক চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া আবার ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত সর্দি-কাশি, ভাইরাস জ্বরে (ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা) এসব রোগে এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। সব রোগে একই ধরনের এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না এটা খুব গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখতে হবে। রোগভেদে বিভিন্ন রকম এন্টিবায়োটিক রয়েছে। তাই রোগী যদি না বুঝে নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন, তখন রোগ তো সারবেই না, উল্টো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং রোগ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। রোগীকে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে চিকিৎসককে বুঝতে হবে, আসলেই রোগীর শরীরে এর প্রয়োজন আছে কি না। সেখানেও পূর্ণ মাত্রা এবং কত দিন খাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। চিকিৎসককে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে রোগীর বয়স, ওজন ইত্যাদির দিকে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও সন্তানসম্ভবা মায়ের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসক জেনে নিতে হবে রোগীর অন্য কোনো রোগ আছে কি না। যদি রোগীর এমন কোনো রোগ থাকে যেখানে এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না এবং চিকিৎসক যদি বিষয়টি না জানেন, তাহলে ওষুধ সেবনের ফলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যেকোনো ওষুধের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। অনেক সময় যদি কোনো ওষুধের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তখন রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এন্টিবায়োটিক ও এর ব্যাবহার এবং রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে জনসচেতেনতা সৃষ্টি করতে হবে। কোয়াকদের এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার উপর নিষেধাঞ্জা আরোপ ও তা ভঙ্গের উপর কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরী। এন্টিবায়োটিকের জেনারেশন ও শ্রেণী অনুসারে রেজিস্টার্ড চিকিত্সরকদের বিভিন্ন স্তরকে তা প্রয়োগের একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন। নতুন ও ব্যায়বহুল এন্টিবায়োটিকের সাধারণ বাজারে সহজলভ্যতা বন্ধকরণ ও টারশিয়ারি হাসপাতালে তা বিনামূল্যে সরবরাহ। ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক রোগীকে ফ্রি দেয়া। প্রয়োজনে ফ্রি সাপ্লাইয়ে আওতা জেলা বা উপজেলা লেভেল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা। ঔষধ কোম্পানীগুলোর এন্টিবায়োটিক নিয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাবসায়িক মানসিকতার পরিবর্তন। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি যা ক্যান্সার কিংবা এইডস এর চেয়েও ভয়াবহ। বছরের পর বছর ধরে প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টার পরও এন্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমাকেও সঠিক পথ বুজার তৌফিক দান করুন।
(all infomation collected from google)
এন্টিবায়োটিক সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফার্মেসি বা দোকানদার বললেও ওষুধ খাবেন না।
অন্যের ব্যবস্থাপত্র দেখে এন্টিবায়োটিক সেবন কখনই করবেন না । অতীতে অসুস্থতার জন্য দেয়া এন্টিবায়োটিক চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া আবার ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত সর্দি-কাশি, ভাইরাস জ্বরে (ডেঙ্গু, ইনফ্লুয়েঞ্জা) এসব রোগে এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। সব রোগে একই ধরনের এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় না এটা খুব গুরুত্ব দিয়ে মনে রাখতে হবে। রোগভেদে বিভিন্ন রকম এন্টিবায়োটিক রয়েছে। তাই রোগী যদি না বুঝে নিজে নিজে ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন, তখন রোগ তো সারবেই না, উল্টো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং রোগ দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। রোগীকে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে চিকিৎসককে বুঝতে হবে, আসলেই রোগীর শরীরে এর প্রয়োজন আছে কি না। সেখানেও পূর্ণ মাত্রা এবং কত দিন খাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। চিকিৎসককে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে রোগীর বয়স, ওজন ইত্যাদির দিকে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু ও সন্তানসম্ভবা মায়ের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসক জেনে নিতে হবে রোগীর অন্য কোনো রোগ আছে কি না। যদি রোগীর এমন কোনো রোগ থাকে যেখানে এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না এবং চিকিৎসক যদি বিষয়টি না জানেন, তাহলে ওষুধ সেবনের ফলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যেকোনো ওষুধের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। অনেক সময় যদি কোনো ওষুধের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তখন রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এন্টিবায়োটিক ও এর ব্যাবহার এবং রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে জনসচেতেনতা সৃষ্টি করতে হবে। কোয়াকদের এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করার উপর নিষেধাঞ্জা আরোপ ও তা ভঙ্গের উপর কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরী। এন্টিবায়োটিকের জেনারেশন ও শ্রেণী অনুসারে রেজিস্টার্ড চিকিত্সরকদের বিভিন্ন স্তরকে তা প্রয়োগের একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন। নতুন ও ব্যায়বহুল এন্টিবায়োটিকের সাধারণ বাজারে সহজলভ্যতা বন্ধকরণ ও টারশিয়ারি হাসপাতালে তা বিনামূল্যে সরবরাহ। ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক রোগীকে ফ্রি দেয়া। প্রয়োজনে ফ্রি সাপ্লাইয়ে আওতা জেলা বা উপজেলা লেভেল পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা। ঔষধ কোম্পানীগুলোর এন্টিবায়োটিক নিয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাবসায়িক মানসিকতার পরিবর্তন। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি যা ক্যান্সার কিংবা এইডস এর চেয়েও ভয়াবহ। বছরের পর বছর ধরে প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টার পরও এন্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমাকেও সঠিক পথ বুজার তৌফিক দান করুন।
(all infomation collected from google)
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment